পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে পুণ্যার্থীদের নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা শুধু বাড়ছেই। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেনে এখনো ৩০ জনের অধিক।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে নদী থেকে আরও ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও বোদার উপজেলায় নদীতে এ
মরদেহগুলো ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা মরদেহগুলোর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, এর আগে, রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলে রাত ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে প্রশাসন ও স্থানীয়রা। ভোর থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধারের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০ জনে। উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে নারী ২৫ জন, শিশু ১৩ জন এবং পুরুষ ১২ জন অধিকাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) মহালয়া উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বোদা উপজেলার বরদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন উৎসবে যোগ দিতে। দুপুরের দিকে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায় একটি নৌকা উল্টে যায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নৌকাটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিলেন। কিছু মানুষ সাঁতরে নদীর তীরে ফিরতে পারলেও অনেকেই নিখোঁজ থাকেন।
এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ও পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর রায় জানান, এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকজন বাদে বাকি সবার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা ও আহতদের পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।