মোঃ বদিউজ্জামান ( তুহিন), নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
শাকসবজিসহ চাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যখন ঊর্ধ্বগতি ঠিক সে সময়ে মাছের বাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তির বাতাস এনে দিয়েছে পোয়া মাছ। নোয়াখালীর বাজারগুলোতে গত কয়েক দিন যাবত পোয়া মাছের সরবরাহ বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে দামও এখন ক্রেতাদের হাতের নাগালে।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের আড়তদাররা বলছেন, প্রতিদিন ১ হাজার থেকে দেড় হাজার মণ পোয়া মাছ বিক্রি হয় এখানে। বড় সাইজের পোয়া মাছ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েকদিন আগেও ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।
মৎস্যখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত কয়েক বছর থেকেই সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে উপকূলীয় হাটবাজারে এখন সারা বছরই নদী ও সাগরের মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
আবদুর রহমান রনি নামের এক আড়তদার বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে পোয়া মাছের সরবরাহ ক্রমশ বাড়ছে। মাছের আড়তগুলোতে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ বেশি। এ কারণে প্রতিদিন দামও কমছে।
ফারুক উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী পল্লী নিউজ কে জানান চেয়ারম্যান ঘাটে প্রচুর পোয়া মাছ পাওয়া যাচ্ছে। দাম কম হওয়ায় গরিব মানুষরাও পোয়া মাছ ক্রয় করতে পারছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে নদীতে মাছ আহরণ করে জেলেরা জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে।
মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া বলেন, প্রচুর পোয়া মাছ ধরা পড়ছে। ট্রলারে ৪ হাজার কেজি থেকে ১০ হাজার কেজি পর্যন্ত পোয়া মাছ পাওয়া যায়। সারাদিন পোয়া মাছ নিয়ে পাইকার ও আড়তদাররা ব্যস্ত থাকে।
কোম্পানিগন্জ ক্লোজার ঘাটের আড়তদার মোঃ জালাল উদ্দীন বলেন এ সময় পোড়া মাছ জেলেদের জীবনসংগ্রামে কিছুটা সাপোর্ট হচ্ছে তা নাহলে পুরো বেকার হয়ে পড়তো জেলেরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করেছে। পাশাপাশি মাছের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি করা এবং সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ফলে এখন মাছ যেমন বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি মাছের বংশবৃদ্ধি এবং উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।