মইনুল আবেদীন খান, বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনায় বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মদনায়, আমাদের জাতীয় পতাকার বিধিমালা লংঘন করে জাতীয় পতাকার অমর্যাদাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা পালনের কারনে প্রতিবাদী সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (২৭ নভেম্বর) ‘চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ’ ফোরামের আয়জনে ও বরগুনা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় সকাল ১১ টায় বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সোহেল হাফিজ, পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক মোঃ হাসানুর রহমান ঝন্টু, জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল, মুক্তিযোদ্ধা সুখ রঞ্জন শীল, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সম্পাদক অ্যাড. মনিরুজ্জামান, বরগুনা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাফর হোসেন হাওলাদার, বরগুনা জাগোনারী প্রধান নির্বাহী হোসনেয়ারা হাঁসি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুকরের ট্রাস্টি চিত্তরঞ্জন শীল, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি নাজমা বেগম, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সোহেল হাফিজ তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রীতি সারা বাংলাদেশ জুড়ে চলছে ফুটবল প্রেমি মানুষের ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মদনা এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সারা বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে জাতীয় পতাকার অবমাননা যা মোটেই কাম্য নয়। প্রায় সব শ্রেনীর ফুটবল ভক্ত মানুষরা যে যার পছন্দ অনুযায়ী নিজ বাড়িতে অন্য দেশের জাতীয় পতাকা টানিয়েছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছেন তাদের জন্মভূমি এই বাংলার মাটিতে। ফুটবলের তাদের এই ভালোবাসা কে ইস্যু করে আমাদের জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জায়গা হারিয়ে ফেলছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান অক্ষুন্ন রাখা সকলেরই দায়িত্ব।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুকরের ট্রাস্টি চিত্তরঞ্জন শীল বলেন, আমি একদিন বাড়ি ফেরার সময় রিকশায় উঠলে দেখতে পেলাম রিক্সার দু হেন্ডেলে অন্য দেশের পতাকা, তখন ওই রিক্সা চালকে পতাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বলেন আমি সেই দেশের ফুটবলের ভক্ত তাই লাগিয়েছি। দেশে এত এমপি-মন্ত্রীরা আছে তাদের গাড়িতে যখন পতাকা লাগাতে পারে তাহলে আমি সামান্য রিক্সা চালক হয়ে কেন পারব না। আমি সেদিন তার কেন র উত্তর দিতে পারি না। তাহলে বুঝতেই পারছেন দেশের জাতীয় পতাকার সম্মান মানুষের কাছে কতটা নিচে নেমে যাচ্ছে। আমরা জাতীয় পতাকার প্রতি মানুষের সম্মান আবারও পুনরুদ্ধর করতে চাচ্ছি। এর জন্য প্রতিবাদ সমাবেশে প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষ একত্র হয়েছি। দরকার হলে আমরা বাংলাদেশের সম্মান পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলনে নামবো।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারক লিপি প্রেরণ করেন বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্যরা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বরাবরও এই স্মারক লিপি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তারা।