কমলনগরে দগ্ধ সেই তরুণীর মৃত্যু

image_pdfimage_print

ঢাকা: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে শরীরে আগুন দেয়া শাহিনুর আক্তার নামে এক তরুণী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) তাকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শাহিনুর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সোনাগাজী গ্রামের জাফর আলমের মেয়ে।

বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া  জানান, শাহিনুরের শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ ওই তরুণী  বলেন, মোবাইলে তার সঙ্গে সালাহ উদ্দিনের পরিচয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সালাহ উদ্দিন প্রথম স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন রাখেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমি চট্টগ্রাম থেকে কমলনগরে গিয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে সালাহ উদ্দিন কেরোসিন তেল দিয়ে আমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজ উল্লাহ ও গ্রাম পুলিশ আবু তাহের বলেন, স্থানীয়রা ওই তরুণীকে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন। পরে ওই তরুণী বাজারে গিয়ে কেরোসিন নিয়ে সালাহ উদ্দিনের বাড়ির পাশের একটি সয়াবিন ক্ষেতে গিয়ে নিজের তার শরীরে আগুন দিয়ে একটি গোয়াল ঘরে গিয়ে বসেন। ওই সময় এলাকার নারীরা ছুটে গিয়ে পানি দিয়ে আগুন নেভান।

তিনি আরও জানান, ঘটনার শুরুর দিকে তরুণী বলেছেন, তিনি নিজে তার শরীরে আগুন দেন। আবার হাসপাতাল আসার পর বলছেন স্বামী আগুন দিয়েছেন। বিষয়টি রহস্যজনক।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, ওই তরুণীর ব্যাগ থেকে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গেছে। তিনি কেরোসিন নিজেই বহন করেছেন বলে মনে হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, তিনি নিজেই নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছেন। তবে সত্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা