ছোট কিংবা বড় প্রত্যেকটি নেক আমলই মুমিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোনো আমল ছোট বলে অবহেলা বা উপেক্ষা করা সমীচীন নয়। কেননা ইখলাসের সঙ্গে করা ছোট আমলও এনে দিতে পারে বড় প্রাপ্তি। কেয়ামতের দিন ওই ছোট আমলটিই হয়ে যেতে পারে নাজাতের ওসিলা। তাই আল্লাহর পছন্দনীয় আমল ও জিকির যতই ছোট হোকনা কেন, তার প্রতি অবহেলা নয়, বরং গুরুত্ব দিয়ে করাই হবে প্রকৃত মুমিনের কাজ।
হাদিসে মহান আল্লাহর এমন দুটি পছন্দনীয় আমলের উল্লেখ রয়েছে, যা নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহ তাআলার কাছে বড় বিনিময় আশা করা যায়। সেগুলো হলো—
১) ওজনে সবচেয়ে ভারী কালেমা
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, ‘দুইটি বাক্য এমন রয়েছে— যা বলা সহজ ও আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো- سُبْحانَ اللَّهِ وبِحَمْدِهِ، سُبْحانَ اللَّهِ العَظِيمِ ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ অর্থ: ‘মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।’ (বুখারি: ৬৪০৬)
২) যে জিকিরে জান্নাতে খেজুরগাছ রোপণ হয়
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়’ (তিরমিজি: ৩৪৬৪)। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত এক জয়িফ হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ১০০০ বার এই জিকির পাঠ করবে সে ওই দিনের জন্য আল্লাহর নিকট থেকে নিজেকে কিনে নিল। দিনের শেষ পর্যন্ত সে (জাহান্নাম থেকে) মুক্তি লাভ করল।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ১০/১১৩, ১১৪)
অতএব উল্লেখিত জিকির দুটি আমরা বেশি বেশি করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। মনে রাখতে হবে, জিকির যেকোনো জায়গায় ও যেকোনো মুহূর্তে করা যায়। এতে তেমন কোনো সময়ক্ষেপণ হয় না। কাজ-কর্মেও কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় না।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উল্লেখিত মর্যাদাপূর্ণ ও বিশেষ ফজিলতপূর্ণ দুই বাক্য বেশি বেশি পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।