প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত বেসরকারী সংগঠনগুলোর সম্মিলিত মঞ্চ “বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট” সারা দেশে বিভিন্ন সময়ে তামাক বিরোধী জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
আমরা জানি, বিসিএস কম্পিউটার সিটি শুধুমাত্র একটি শপিং কমপ্লেক্সই নয় বরং এটি দেশের আইটি শিল্পের অন্যতম কেন্দ্রস্থল। ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ৭ জানুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত এই বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম কম্পিউটার মেলা-“সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২২”। উক্ত মেলায় সারাদেশ থেকে বহু মানুষ ইলেকট্রনিক পণ্য ক্রয়ের উদ্দেশ্যে একত্রিত হবেন। যেখানে বিভিন্ন বয়সের নারী, শিশু, তরুণসহ অনেক অধূমপায়ী মানুষের সমাগম ঘটবে। কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবনটি আইনানুযায়ী ধূমপানমুক্ত হলেও কোনো ধূমপায়ীর কারণে জনস্বাস্থ্য যেন ঝুঁকির সম্মুখীন না হয় সে বিষয়টিতে বিশেষ নজরদারী রাখা প্রয়োজন। উক্ত বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আজ ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, বেলা ২.৩০ টায় বিসিএস কম্পিউটার সিটির আইডিবি ভবনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে “তরুণদের রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও দ্রুত সংশোধনের আহবান” শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন (২০১৩) এর সংশোধনী প্রস্তাবনা অনুসারে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্মাণ বাতিল, খুচরা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ, তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে বাধ্যতামূলক লাইসেন্সিং ব্যবস্থা, বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্যের প্রদর্শন বন্ধ, রাজস্ব আয় বিষয়ক তামাক কোম্পানির মিথ্যাচার, তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধকরণ, সচিত্র সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি বিষয়ে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
উক্ত ক্যাম্পেইনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের পাশাপাশি এক্টিভেট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ডাস্, আইডিএফ ও ডাবব্লিউবিবি ট্রাস্ট -এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। আমরা আশাবাদী ক্যাম্পেইনটি মেলা চলাকালীন সময়ে জনসমাগমস্থলটিকে ধূমপানমুক্ত রাখার পাশপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
সৈয়দা অনন্যা রহমান
সচিবালয়, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট