আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক বসছে আগামী মঙ্গলবার। ওই দিন সন্ধ্যা সাতটায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের ভোটে অনড় থাকার বিষয়ে কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেটি নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের সন্তান, নিকটাত্মীয় ও স্বজনদের মধ্যে কারা দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত ভোটে আছেন, এর তালিকা তৈরি করেছেন আট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকেরা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তরেও তৃণমূল থেকে এ ব্যাপারে অনেক তথ্য–অভিযোগ এসেছে। মঙ্গলবারের বৈঠকে এই তালিকা উপস্থাপন করা হবে। কেন মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনেরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ভোট থেকে সরে দাঁড়াননি, সে বিষয়ে আলোচনার পর শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, প্রথম পর্বে ৫০ জনের মতো মন্ত্রী–সংসদ সদস্যের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় পর্বেও কাছাকাছি সংখ্যায় মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনেরা ভোটের মাঠে আছেন। সাংগঠনিক সম্পাদকেরা নিজ নিজ বিভাগের প্রতিবেদন তুলে ধরবেন বৈঠকে। এর ওপর আলোচনা হবে। স্বজনদের ভোটে দাঁড় করানোর অভিযোগ ওঠা মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের কয়েকজন কেন্দ্রীয় কমিটিতেও আছেন। তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের ভোট থেকে সরে দাঁড়াতে ১৮ এপ্রিল নির্দেশ দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত মাত্র ৩ জন সরে দাঁড়ান। বাকিরা এখনো ভোটের মাঠে আছেন। এর মধ্যে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের সন্তান, ভাই, শ্যালকসহ অন্যান্য আত্মীয় রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সাংগঠনিক অ্যাজেন্ডা আলোচনায় আসবে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের বিষয়টি তোলা হবে কি না, তা দলের সাধারণ সম্পাদক দলীয় সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবেন।