রুবিয়ালেসের বক্তব্যের জেরে স্পেনের ১১ কোচিং স্টাফের পদত্যাগ

’পদত্যাগ করবো না, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।’ স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রুবিয়ালেসের এই বক্তব্যের প্রতিবাদে স্পেন নারী দলের ১১ জন কোচিং স্টাফ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর বিবিসির

তবে হেড কোচ জর্জ ভিদাল পদত্যাগ করেননি। তিনিও বেশ বিতর্কিত। তাকে ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রুবিয়ালেস চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দিয়েছেন।

পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে বিবৃতিতে স্পেন নারী ফুটবল দলের স্টাফরা জানিয়েছেন, উল্লিখিত কোচিং স্টাফ তাদের পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে। জেনি হেরমোসের প্রতি রুবিয়ালেস যে মনোভাব প্রকাশ করেছেন তা অত্যন্ত আপত্তিকর। তার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে রুবিয়ালেস ফেডারেশনের দায়িত্বে থাকলে ফুটবল খেলবেন না বলে অন্তত ৮০ জন ফুটবলার হুমকি দিয়েছেন।

এদিকে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ফিফা। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফুটবলের কোনো কার্যক্রমে তিনি অংশ নিতে পারবেন না।

ফিফা নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিতের পর পুরস্কার নিতে যখন নারী দলের ফুটবলাররা একে একে স্টেজে উঠছিলেন, সে সময় সকলকেই জড়িয়ে ধরে চুমু দিচ্ছিলেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এ সময় আনন্দে আপ্লুত হয়ে কয়েকজনকে কোলেও তুলে নেন তিনি। স্পেনের সংস্কৃতি অনুযায়ী যা অতি স্বাভাবিক দৃশ্য।

তবে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জেনিফার হারমোসোর সঙ্গে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন রুবিয়ালেস। অন্যদের তুলনায় হারমোসোকে দীর্ঘ সময় আলিঙ্গন করেন রুবিয়ালেস। দুহাতে জড়িয়ে উঁচুতেও তুলে ধরেন। একে অপরের সঙ্গে কথাও বলেন। একপর্যায়ে হারমোসোকে জাপটে ধরে ঠোটে চুমু খান স্পেন ফুটবল প্রধান। মুহূর্তে এই দৃশ্য ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এমন কাণ্ড ঘটিয়ে সমালোচনার শিকার হন স্পেন ফুটবল প্রধান। হারমোসোকে ঠোঁটে চুম্বনের ঘটনায় রুবিয়ালেসের পদত্যাগের দাবিও উঠেছে। যদিও তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চুম্বনের ঘটনাটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, পারস্পরিক, উচ্ছ্বসিত ও সম্মতিসূচক। রুবিয়ালেস এও দাবি করেন, ভুয়া নারীবাদীরা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে।

যদিও হারমোসো শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, চুম্বনে তার মোটেও সম্মতি ছিল না। এ ঘটনায় তিনি নিজেকে অরক্ষিত ও আগ্রাসনের শিকার হিসেবে অনুভব করেছেন।

এদিকে সভাপতি রুবিয়ালেসকে আগলে রাখছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন। তাই উল্টো বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়ের মন্তব্যের কারণে ক্ষেপেই গেছে ফেডারেশন। যে কারণে হারমোসোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।

রোববার এক বিবৃতিতে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন জানায়, বিশ্বকাপজয়ী ওই নারী ফুটবলার লুইসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা সত্য নয়। লুইস রুবিয়ালেস মিথ্যা বলেননি। হারমোসোর এমন অনভিপ্রেত অভিযোগের ফলে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা বিব্রত বোধ করছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা