রামগতি-কমলনগরে বিএনপি চাঙ্গা, লক্ষ্য ধানের শীষের বিজয়

image_pdfimage_print

নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসন বিএনপি’র শক্ত ঘাঁটি। আগামী সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে এখানে গ্রুপিং আছে; তবে কোন্দল, দলাদলি ও দ্বন্দ নেই। আওয়ামী লীগের মামলা-হামলা, ভয় ও আতঙ্কে জিমিয়ে পড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচন গনিয়ে আসায় ফের চাঙা ও ফুরফুরে হয়ে উঠছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মনে করেন যত কঠিন পরিস্থিতিই হোক বিএনপি নির্বাচনে গেলে এ আসন হাত ছাড়া হবার নয়। অন্য কোনো দল ছিনিয়েও নিতে পারবেনা। গত ঈদের আগে সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন নিজানের রামগতির বাড়িতে মেজবান অনুষ্ঠান ও ঈদের পরে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারি বাবু নির্বাচনী এলাকায় শো-ডাউন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের চাঙা করে দিয়েছে; সেই থেকেই তারা ফুর ফুরে। রামগতি ও কমলনগর দু’ উপজেলা নিয়ে লক্ষ্মীপুর-৪ সংসদীয় আসন। এ আসন থেকে বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারি বাবু মনোনয়ন প্রত্যাশি। দলীয় মনোনয় প্রাপ্তিকে ঘিরে বেশ কিছু নেতাকর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত। তবে দলীয় যে কোনো কর্মসূচীতে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ দেখা যায়। লক্ষ্য আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করা। এদিকে, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জেলা বিএনপি’র সভাপতি কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম এ আসন থেকে মনোনয় প্রত্যাশা করছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। বিএনপি অংশ নেওয়া বিগত নির্বাচনগুলোর আগেও মনোনয়ন প্রাপ্তিকে ঘিরে একাধিক প্রার্থী ও গ্রুপিং ছিলো। পরবর্তীতে দেখা গেছে দল যাকেই টিকেট দিয়েছে সবাই তার পাশে দাঁড়িছে। এক হয়ে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করেছে। বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বেশির ভাগ নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের দেয়া মামলার শিকার। বেশ কিছু নেতা রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। মামলা-হামলা কারণে ওই সব নেতাকর্মীরা আরও বেশি পরীক্ষিত হয়ে উঠছে বলে দাবি নেতাকর্মীদের। যে কারণে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে তারা শেষ পর্যন্ত গ্রুপিং ভেঙ্গে এক হয়ে দলের জন্য কাজ করবেন বলেও জানান। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মী সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ থেকে কেউ আশরাফ উদ্দিন নিজানের পক্ষে আবার অনেই শফিউল বারি বাবুর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তারা তাকে ভোটে জয়ী করবে। রামগতি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু সায়েম মোহাম্মদ শাহিন বলেন, এ আসনটি বিএনপি অধ্যশিত। এখানকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ বিএনপিকে ভালোবেসে ভোট দেয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল যোগ্য প্রার্থীকেই মনোয়ন দেবেন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আসা মনোনিত প্রার্থীকেই এখানকার জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচনেকে ঘিরে বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সংগঠন এবং সেচ্ছ্বাসেবক দলের সকল ইউনিট কাজ করছে। কমলনগর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, বিএনপি একটি শক্তিশালি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। রামগতি-কমলনগর বিএনপির ঘাটি। এখানে কোনো গ্রুপিং নেই। সবাই দলের স্বার্থে এক ও ঐক্যবদ্ধ। রামগতি উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, এই দলের সকল নেতাকর্মী শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। তারা ব্যক্তির জন্য নয় দালের জন্য নিবেদিত। বিগত ৩৬ কছর ধরে দলীটি কোনো গ্রুপিং ছাড়াই এক ও অভিন্ন হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করছে। রাজনৈতিক সচেতনরা মনে করেন রামগতি-কমলনগর বিএনপি’র শক্ত ঘাঁটি। এখানে ব্যক্তি নয় প্রতীকই বড়।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা