আবু তাহের, রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের দক্ষিন চন্ডিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জামায়াতের অর্থদাতা হাউজিং ব্যবসায়ী আবুল কালামের শীতবস্ত্র,ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন,স্থানীয় চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল ইসলাম সুমন সহ রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ওই প্রোগরামে উপস্থিত থাকায় উপজেলাব্যাপী তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী মাঝে চরম ক্ষোভের সুষ্টি হয়েছে৷
চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূইয়া ও যুগ্ন আহবায়ক জিএস নজরুল ইসলাম জানান, আমরা জামায়েত নেতার অর্থায়নে অনুষ্ঠান হচ্ছে জানতে পেরে উক্ত অনুষ্ঠান বয়কট করেছি। জামায়াতের এই অর্থদাতা আবুল কালামের সভাপতিত্বে ২০১৯ সালে এলাকায় জামায়াতের ওয়াজিন মুফতী কাজী ইব্রাহীম, মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালীকে অতিথি করে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করলে দলীয় নেতাকর্মীদের বাধার মুখে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন উক্ত ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেয়৷ তারপরও জামায়াতের এমন চিহিৃত ব্যক্তির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওযামীলীগ সাধারন সম্পাদক কিভাবে আসছেন তা আমরা জানি না৷
২৯(ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত শীতবস্ত্র,ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র বেলাল আহমেদ, লামচর ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজুল্লাহ জিসান, চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম সুমন প্রমূখ৷ এ ব্যাপারে হাউজিং ব্যবসায়ী আবুল কালামের সাথে যোগাযোগেন চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি৷
চন্ডিপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর শেখ জানান, অএ ইউনিয়নে আওয়ামী নামদারী কিছু কুচক্রী মহল জামায়াত নেতার টাকা খেয়ে অনুষ্ঠানে সফল করার লক্ষে ওখানে গিয়েছিলো। এজন্য প্রকৃত আওয়ামীলীগ হিসাবে এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আওয়ামীলীগ নেতা ইকবাল পাটোয়ারী জানান, জামায়াতের অর্থদাতা আবুল কালামের বাড়ি আমার বাড়ি থেকে ১০কিঃমিঃ দুরে। উনাকে আমি চিনি না জানিনা। আর সেই অনুষ্ঠানে কোন দাওয়াতও আমি পাইনি।
৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিতরন অনুষ্ঠানের সভাপতি সামছুল ইসলাম সুমন জানান, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) সংসদীয় আসনের এমপি ও লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন আমাকে ফোন দেওয়ার কারনে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছি। প্রোগরামে গিয়ে দেখি আমাকে সভাপতি রাখা হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
পৗর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বেলাল আহমেদ জানান, আবুল কালাম একসময় জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল৷ এটা স্থানীয় অনেকের মাধ্যমে জানতাম। তবুও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আসছেন তাই গিয়েছি।
এ বিষয় জানতে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) সংসদীয় আসনের এমপি ও লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।