নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসার কোনো রাস্তা নেই: আব্দুর রহমান

image_pdfimage_print

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান আগস্ট মাসকে সব হারানোর দিন, বেদনার দিন উল্লেখ করে বলেছেন, সামনে নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি অশুভ রাজনৈতিক দল এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার উদ্দ্যেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দফা দিয়ে দেশে নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করার পায়তারা চালাচ্ছে। তাদেরকে বলি বাংলাদেশের মানুষ, মাটি ও ভৌগোলিক অবস্থা বিশ্বের জায়গা থেকে বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপ নয়; সারা পৃথিবীতে যেভাবে নির্বাচন হয় সংবিধান সম্মত অনুযায়ী। বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অবাধ সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে আবারও ম্যান্ডেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবে। সারা পৃথিবীর সৎ প্রধানমন্ত্রীদের তিনজনের একজন শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যেও তিনি একজন। 

শুক্রবার বিকেল ৬টায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাসস্ট্যান্ড চত্বরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আব্দুর রহমান আরও বলেন, নির্বাচন ছাড়া এদেশে ক্ষমতায় আসার কোন রাস্তা নেই। ষড়যন্ত্রের নীলনকশা না করে আপনারা নির্বাচনে আসুন। স্বপ্ন দেখা ভালো। স্বপ্ন যদি দিবাস্বপ্ন হয় তাহলে ফল উল্টো হয়। বাংলাদেশের মানুষ এতো অকৃতজ্ঞ নয় ওতো আত্মভোলা নয়। যেই তারেক জিয়া ছিল হাওয়া ভবনের মালিক। খুয়াব ভবন তৈরি করে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে নিয়ে গিয়েছিল। এদেশের মানুষ আর তারেক জিয়াকে গ্রহণ করবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন হতে দিবে না, অথচ ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের লক্ষ্য নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসার রাস্তা তথা আরেকটি ওয়ান ইলেভেন তৈরি করা। বাংলাদেশের কিছু জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে অরাজনৈতিক সরকার গঠন করা।

শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, আলফাডাঙ্গায় আব্দুর রহমানের আসার কথা শুনে হাজার হাজার নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে। আব্দুর রহমান আওয়ামী লীগের অন্যতম একজন নীতি নির্ধারক। আগামীতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে আপনাদের আর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য কোন মন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হবে না। তিনি নিজেই মন্ত্রী হবেন। এ জন্য তিনি ফরিদপুর-১ আসনের সকলকে আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশে অপর বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে আব্দুর রহমানের বিকল্প নাই। এটা জনসভায় উপস্থিত লোকজনই বলে দেয়। আমি বিশ্বাস করি জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার তাকেই মনোনয়ন দিবেন।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম আকরাম হোসেনের সভাপতিত্ব সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শ্যামল ব্যানার্জি, আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন তারা, ইকবাল হোসেন চুন্নু, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকু, বোয়ালমারী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সেলিম রেজা লিপন মিয়া, আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল আতাউল সাইক্লোন, আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র সাইফুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খান বেলায়েত হোসেন, উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, টগরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মিয়া আসাদুজ্জামান, পাচুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল, ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাহাত খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হোসেন রবিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এনায়েত হোসেন, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান, সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী কাওসার টিটো, সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমেদ প্রমুখ।

বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে শান্তি সমাবেশে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটর সাইকেল, নসিমন, করিমনের বহর ও মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা দলে দলে যোগ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের এ শান্তি সমাবেশ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমানের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় পরিণত হয়। সমাবেশে প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা