‘টাইমস্কেল’ শব্দে আটকে যাওয়ায় ‘উচ্চতর গ্রেড’ দেয়ার সিদ্ধান্ত

image_pdfimage_print

বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকরা উচ্চতর গ্রেড পাবেন। নতুন জাতীয় পে-স্কেলে টাইমস্কেল বাতিল করা হয়। আর তাই টাইমস্কেল শব্দে আপত্তি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আপত্তি এড়াতে ‘উচ্চতর গ্রেড’ শব্দ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন সংক্রান্ত’ সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলাচনা হয়। এতে  সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি) জাবেদ আহমেদ। সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ নিয়মে টাইমস্কেল সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন কয়েক লাখ এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী। তাদের বিষয়টি মাথায় রেখে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের ‘টাইমস্কেলের’ পরিবর্তে ‘উচ্চতর গ্রেড’ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এমপিও নীতিমালা সংশোধনের জন্য অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত একজন অতিরিক্ত সচিব দৈনিক শিক্ষাকে জানান, শিক্ষক-কর্মচারীদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার বিষয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ‘টাইমস্কেল’ বন্ধ করার নির্দেশ অর্থ মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্ত সুবিধা বঞ্চিত হন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাই এমপিও নীতিমালা সংশোধন করে ‘টাইমস্কেল’ শব্দটি ‘উচ্চতর গ্রেড’ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, টাইমস্কেলের নিয়মেই ‘উচ্চতর গ্রেড’ পাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। অর্থাৎ ১০ বছর পূর্তিতে একটি এবং চাকরির ১৬ বছর পূর্তিতে আরও একটি, মোট দুইটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন শিক্ষকরা। কর্মকর্তারা আরও জানান, সংশোধিত নীতিমালা জারি করা হলে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির যোগ্য শিক্ষকদের আবেদন বিধি মোতাবেক ফরোয়ার্ড করার নির্দেশ দেয়া হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। যোগ্য বিবেচিত সবার নাম পাঠাতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, এনটিআরসিএ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা