কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় দায়ের করা কৃষক রেজাউল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আপন সহোদর ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদ-াদেশ দেন আদালত।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার মৃত রহমত শেখের ছেলে আব্দুল গফুর (৪৫), জালাল উদ্দিন (৩৮), উজ্জল (৩৫), সেজ্জাদ প্রকাশ সুজাত (২৫), ও সুজন (২৩)। এরা প্রত্যেকে আপন ভাই। রায় ঘোষনার সময় আসামী গলুর ও জালাল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলো।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১১ জুন রাত ১০ টার সময় কুমারখালী উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকার সেচ খালের পানি দিয়ে ইরি ধানের জমিতে সেচ দেওয়ার উদ্যোশ্যে মাঠে যাচ্ছিলো কৃষক রেজাউল উদ্দিন এবং তার দুই মামা আফিল উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন। এসময় মাঠের মধ্যে কয়েকজন রেজাউলকে অস্ত্রসহ ঘিরে ধরে। এসময় তাকে কুপিয়ে মারাত্বক ভাবে যখম করে পালিয়ে যায় তারা। সেখান থেকে রেজাউলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় পর দিন ১২ জুন কুমারখালী থানায় ০৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩/৪জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করেন নিহত রেজাউলের মামা আফিল উদ্দিন।
পরে পুলিশ পেনাল কোড এর ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ০৭ জানুয়ারি আদালতে ১২ জনকে আসামী করে মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন কুমারখালী থানা পুলিশের উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সামসুল আলম সিদ্দিকী।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অভিযুক্তরা কৃষক রেজাউল উদ্দিকে কুপিয়ে হত্যা করে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, কুমারথালী থানায় দায়ের করা রেজাউল হত্যা মামলায় ১২জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ও প্রমানের ভিত্তিতে ৫আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহতীত ভাবে প্রমানিত হয়। দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল গফুর (৪৫), জালাল উদ্দিন (৩৮), উজ্জল (৩৫), সেজ্জাদ প্রকাশ সুজাত (২৫), ও সুজন (২৩) কে যাবজ্জীবন কারাদ-সহ ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। সেই সাথে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বাঁকী আসামীদের এ মামলা থেকে অব্যহিত প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।