কমলনগরে নৌকাসহ ৬ প্রার্থী মাঠে

 
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা, দুই যুবলীগ নেতাসহ ৫ বিদ্রোহী ভোট যুদ্ধে নেমেছেন । দলীয় মনোনয়ন চেয়েও না পেয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তবে তারা নিজদের বিদ্রোহী নয়; স্বতন্ত্র দাবি করছেন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের ছড়াছড়ি। তবে যতই ঝড় আসুক নৌকা ডুবি হবে না এমনটাই প্রত্যাশা করছেন নৌকার মাঝি-মাল্লারা। আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে কমলনগর উপজেলা নির্বাচন। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন এক ডজনেরও বেশি প্রার্থী। তাদের মধ্যে থেকে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে চার জনের নাম। অবশেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার নৌকার টিকেট পেয়েছেন। নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহীরা হলেন ১৪ দলীয় জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক (কাপ পিরিচ), উপজেলা যুব লীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি (দোয়াত-কলম), যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ হিরন (আনারস), জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুর রহমান দিদার (হেলিকপ্টার), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আমিন অপি (মোটরসাইকেল)। নির্বাচনে জয়ী হতে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা করছেন। হাট-বাজারে, গ্রামগঞ্জে মিটিং-মিছিল ব্যস্ত। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন, করছেন উঠান বৈঠক। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। জনপ্রতিনিধিরাও (চেয়ারম্যান-মেম্বার) নৌকার বিজয়ের লক্ষে কাজ করছেন। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ দেখা গেছে। ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে দেখা গেছে গণসংযোগ ও পথসভা। কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম নুরুল আমিন মাস্টার বলেন, নৌকাকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীও সমর্থক নৌকার ভোট করছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাই নৌকায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালি করবে। উপজেলা ১৪ দলীয় জোটের সভাপতি অ্যাডভোটেক আনোয়রুল হক বলেন, বিগত দিন কমলনগরে দল ও উপজেলার উন্নয়নে কাজ করেছি। সেবার করার প্রত্যয় নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। যুবলীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা বিদ্রেীহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পির পক্ষে ভোট চাইছেন। যুবলীগ নেতা বাপ্পি বলেন, বিদ্রোহী নয়; আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোট চাইছি। প্রত্যাশা করছি সবাই দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে। জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুর রহমান দিদার বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন চাইনি। ভোটারদের আগ্রহে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। দলমত ভুলে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ হেলিকপ্টার প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়ী করবেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আমিন অপি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রচার-প্রচারণা করছি। সবার কাছে ভোট ও দোয়া চাইছি। লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের উল্লেখ আছে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে দল হতে তিনি সরাসরি বহিস্কার হবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

bn_BDবাংলা