ভারতীয় এক কন্যা শিশুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অ্যাপেলের সিইও টিম কুক। ৯ বছরের ওই মেয়ে থাকে দুবাইতে। আর সেই কন্যাই মনজয় করেছে টিম কুকের। আইফোনের জন্য আইওএস অ্যাপের ডিজাইন করেছে এই মেয়ে। দুবাই নিবাসী ৯ বছরের ওই ভারতীয় মেয়ের নাম হানা মুহাম্মদ রফিক। বয়সে সবচেয়ে ছোট অর্থাৎ কনিষ্ঠ আইওএস ডেভেলপার হিসেবে নিজের কথা টিম কুককে জানায় ওই শিশু।
এই দাবি জানানোর পিছনে রয়েছে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত কারণ। নিজের নামের সূত্র ধরেই এই কন্যে তৈরি করেছে ‘হানাস’ নামে একটি স্টোরি টেলিং অ্যাপ। এই অ্যাপের সাহায্যে বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের জন্য গল্প রেকর্ড করে রাখতে পারবেন। বলা হচ্ছে, ই-মেলের মাধ্যমে নিজের অ্যাপ তৈরির কথা অ্যাপেলের সিইও টিম কুককে জানিয়েছিল হানা। সেই ইমেলে নিজের কাজের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিল। এই ই-মেলের জবাবেই হানার প্রশংসা করেছেন টিম কুক। বাচ্চাদের জন্য অনেক গল্প রয়েছে হানাস ফ্রি আইওএস অ্যাপে।
কিড-ফ্রেন্ডলি বা বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত গল্প থাকবে এমন অ্যাপ তৈরির কথা কীভাবে হানার মাথায় এসেছিল তাও জানা গিয়েছে। যখন তার ৮ বছর বয়স তখনই এই অ্যাপ বানিয়ে ফেলেছিল হানা। আজকাল ব্যস্ত জীবনে সব বাবা-মায়ের পক্ষে সন্তানের সামনে বসে হয়তো তাকে গল্প পড়ে শোনানো সম্ভব হয় না। তাই জন্যই এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপে বাচ্চাদের জন্য বাবা-মায়েরা গল্প রেকর্ড করে রাখতে পারবেন। অ্যাপেলের সিইও টিম কুক যে হানার কাজের প্রশংসা করে তাকে অভিবাদন জানিয়েছেন, একথা মেয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন তার বাবা। ঘুম থেকে উঠেই সুখবর পেয়েছিল ছোট্ট মেয়ে।
একটা ডকুমেন্টারি দেখার পরেই এই অ্যাপ তৈরির চিন্তাভাবনা হানার মাথায় এসেছিল। তারপরেই অসাধ্য সাধনা করেছে সে। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় যে বাচ্চারা গল্প শুনলে সহজে ঘুমিয়ে পড়ে। তবে সবসময় হয়তো বাবা-মায়ের পক্ষে বাচ্চার সামনে বসে গল্প শোনানো সম্ভব হয় না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় কর্মব্যস্ততা। এবার ওয়ার্কিং পেরেন্টদের আর অসুবিধা হবে না। আইফোন থাকলে আইওএস ভার্সনে হানার তৈরি করা অ্যাপ ব্যবহার করে সন্তানের সঙ্গে না থেকেও তাকে সময় এবং সঙ্গ দিতে পারবেন অভিভাবকরা। বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত গল্প রেকর্ড করে রাখা যাবে।